ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেঘনায় ইলিশের জালে এবার মিলছে বড় আকারের কাতল 

মেঘনায় ইলিশের জালে এবার মিলছে বড় আকারের কাতল 

চাঁদপুর নৌ-সীমানার পদ্মা-মেঘনা নদীতে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আশ্চার্যজনক খবর হলেও সত্য যে’ ইলিশের জালে এবার ইলিশের পরিবর্তে আটকা পড়ে বড় বড় আকারের কাতল মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

মেঘনা নদীর চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দবাজার, রাজরাজেশ্বর চর, তারাবুনিয়া, হরিনা, চিড়ার, আলুর বাজার, ইশানবালা ও চর ভৈরবি এলাকায় বড় আকারের অসংখ্য কাতল মাছ ধরা পড়েছে জেলেদের জালে। নদীতে পাওয়া প্রতিটি কাতল মাছের ওজন প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গত কয়েকদিন যাবত ইলিশের পরিবর্তে পাওয়া গেছে বড় ধরনের পাঙাশ মাছ ধরা পড়ার পর এখন জেলেরা বড় আকারের কাতল মাছ পাচ্ছে বলে গনমাধ্যমকে জানিয়েছে।

সোববার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের অদূরে মেঘনা নদীতে তরপুরচন্ডি এলাকার জেলে ইসমাইলের সুতার জালে চারটি কাতল মাছ ধরা পরে। মাছ গুলো দুপুর ১২টার দিকে বিক্রির জন্য চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে আনলে এক নজর দেখতে ভিড় করে স্থানীয় ক্রেতারা।

মেসার্স আবুল খায়ের মৎস্য আড়তে মুহূর্তের মধ্যে নিলাম হয়। এ সময় ৩৫ হাজার টাকা মণ দরে প্রায় ৩৯ কেজি ওজনের কাতল মাছ গুলো বিক্রি হয়ে যায়।

নৌ-ঘাটের আড়তদার ইউসুফ বন্দুকশী জানান, আজ সকালে এই ঘাটের জেলেরা মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার জন্য জাল ফেলেন। তাদের জালে পৃথক পৃথক ভাবে প্রচুর পরিমানে বড় বড় কাতল মাছ ধরা পড়ে।

জেলে ইসমাইল জানান, নদীতে ২২ দিনের অভিযানের পর তাদের ব্যবহৃত ইলিশ জালে মাঝে মধ্যে পাঙাশ,আইড় ও রুই-কাতল ও রিডা মাছ ধরা পড়ে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে ইলিশের পাশাপাশি বেশ কিছু পাঙাশ-আইড় মাছের পর নদীর প্রচুর কাতল মাছও পাওয়া গেল।

হাজী আবুল খায়ের গাজী মৎস্য আড়তের লোকজন জানান, এসব মাছ ঘাটে এলে প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে ঘাটের বড় আড়তদাররা এ মাছ কিনে নেন। স্থানীয়ভাবে এসব মাছের ক্রেতা কম। বিক্রি করতে হলে মাছ কেটে ভাগ করে বিক্রি করতে হবে। তাই ঢাকা,চট্রগ্রাম বা অন্য কোনো স্থানের বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিক্রি করা হযেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, এ বছর ইলিশ অভিযান সফল হওয়ায় মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন রকম বড় বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে ইলিশসব সব ধরনের মাছ বিচরণের সুযোগ পাওয়ায় বড় বড় হয়েছে বলে জেলেরা মাছ ধরে সুফল পাচ্ছে এবং বেশী অর্থ উপার্যন করতে পাচ্ছে।

চাঁদপুর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত